গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে শশুর বাড়িতে মো. রবিউল ইসলাম নামে এক জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পূবাইল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মৃত্যুর এবং আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি শনিবার (১১ মে) জানিয়েছেন। নিহত রবিউল ইসলাম টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৪৯নং ওয়ার্ডের এরশাদনগর এলাকার তুহিন তালুকদারের ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা বালুঘাট গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে (শশুর) মো. আবুল কালাম আজাদ এবং তার ছেলে মো. হুমায়ুন কবির ও মেয়ে (নিহত রবিউলের স্ত্রী) মোসা. কারিমা, শরীয়তপুর জেলা নড়ীয়া থানা আইটপাড়া গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে মো. লিটন। বর্তমানে তারা পূবাইল থানাধীন ৪১নং ওয়ার্ডের সাতানীপাড়া গফুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
জানা যায়, একবছর আগে পূবাইল থানাধীন ৪১নং ওয়ার্ডের সাতানি পাড়া এলাকায় বিয়ে করেন নিহত রবিউল ইসলাম। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই আছে। ঈদে মার্কেটের বিষয় নিয়ে রবিউলের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করে ভাড়া বাসা ছেড়ে তার পিতার বাড়ি চলে যায় স্ত্রী।
স্ত্রী-শ্বশুরবাড়িতে থাকায় গত ৫মে রাতে টঙ্গী থেকে এসে রবিউল তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠে। এসময় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন সকলে মিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে পিটিয়ে নির্যাতন চালায়।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা নিহত রবিউলকে বৃহস্পতিবার ৯ মে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে রবিউল ইসলাম মারা যান। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পূবাইল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, নিহত রবিউল টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের নামে একটি মামলা করেছেন। শনিবার (১১ মে) মামলায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
টিএইচ